(ইসরাত জাহান প্রিয়ানা) বিশ্ববিদ্যালয়ের হোম ইকোনোমিক্স ইউনিটে ৬টি কলেজের মধ্যে গভ. কলেজ অব এ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্সে ২০ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে শুধুমাত্র ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস।ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সে এতদিন অফলাইনে ক্লাস নেয়া হলেও ১ম বর্ষের ১৮ এপ্রিল হতে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হবে বলে জানা গেছে আপাতত।
কিন্তু পরবর্তী ক্লাসগুলো অনলাইনে নাকি অফলাইনে তা কিছু জানা যায়নি। এছাড়া আকিজ কলেজ অব ইকোনমিক্সে ১৭ তারিখ থেকে পরবর্তীতে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস অনলাইনে হবে। ঈদের কারনে বন্ধ দিলেও তা শুধু নামেমাত্র। অন্যদিকে বাংলাদেশ হোম ইকোনোমিক্স কলেজে ২০ তারিখ পর্যন্ত শুধুমাত্র ১ম বর্ষের ক্লাস চলমান থাকলেও অন্যান্য বর্ষের ক্লাস নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।এছাড়া ময়মনসিংহ হোম ইকোনোমিক্সে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলমান থাকলেও ১২/১৩ এপ্রিল হতে রমজানের ছুটি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ঢাবির গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের সকল বর্ষের ৫টি কলেজের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হলেও চলমান ছিলো ব্যবহারিক পরীক্ষা।
দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। অবশেষে দীর্ঘ সময় পর হলেও কিছু ক্যাম্পাস সকল বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে পারলেও ময়মনসিংহ হোম ইকোনোমিক্স কলেজে এখনও ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়নি,ঈদের পর চলমান বাকি পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে বলে শিক্ষকমন্ডলীর নিকট হতে জানা গেছে।
তবে পরীক্ষা শেষ হলেও শুধুমাত্র আকিজে অনলাইনে চলমান থাকবে পরবর্তী বর্ষের ক্লাস। অর্থাৎ প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ক্লাস।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকিজ কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স এর অধ্যক্ষ ফাতেমা সুরাইয়া।
করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয় শিক্ষার্থীদের। তাই ১ম বর্ষের একাডেমীক সিলেবাস ১০ মাসে শেষ করার পরিকল্পনা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।চলমান বছরের অক্টোবরে ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার ইতোমধ্যে পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে এবং ঈদের পর ইনকোর্স নেয়ার কথাও রয়েছে।এমনকি ১ম বর্ষের মাইনর সাবজেক্ট গুলোর সিলেবাস শর্ট করে ক্রেডিট -৪ এর পরিবর্তে ক্রেডিট -৩ এ আনা হয়েছে।
তবে ২য়,৩য়,৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের করোনা কালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
এতে করে শিক্ষার্থীদের কারো কারো মাঝে হতাশা ও বিষণ্ণতা দেখা দিয়েছে।এখন তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।