নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।শিক্ষককে লাঞ্ছিত করলেন কর্মচারী, বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারীর বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছেন বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার চেয়ে এই আন্দোলন করেন তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিত সরকার বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে কর্মচারীর অসৌজন্যমূলক আচরণের সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা। বিচারের দাবিতেই আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি।শিক্ষককে লাঞ্ছিত করলেন কর্মচারী, বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
জানতে চাইলে কর্মচারী কতৃক লাঞ্ছনার শিকার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল আমিন শিকদার বলেন, বিভাগের প্রয়োজনে মোবাইলফোনে কল দিলে অফিসের কর্মচারী মিজান আমার সঙ্গে অনেক বাজে আচরণ করেন। পরে বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে কথা বলা হবে বলে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি আবার কল দিয়ে আমাকে যাচ্ছেতাই গালাগালি শুরু করেন এবং আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে তিনি প্রায়ই এভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। এর আগেও বিভাগের আরেক সিনিয়র শিক্ষকের সঙ্গে তিনি খারাপ আচরণ করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান। শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, মোবাইলফোনে স্যার আমাকে হুমকি দিয়েছেন। আমি কিভাবে এখানে চাকরি করি তা দেখে নিবেন বলেছেন। স্যার আমার বিরুদ্ধে লেগেই আছেন। আমি খারাপ আচরণ করেছি এমনটা প্রমাণ করতে পারলে কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নিবে তাই আমি মেনে নিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ভিসি স্যার এটা নিয়ে বসবেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।