25.7 C
Bangladesh
মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৪

এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না ইবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাচ্ছে না ইবি
 গুচ্ছ পদ্ধতিতে না গিয়ে আসন্ন ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের
স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়
নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)
শিক্ষকরা। রবিবার (০৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ
 সম্পাদক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, গত ২রা এপ্রিল গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথমবর্ষের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি জরুরী সাধারণ সভা করে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষকরা অংশ নেন এবং তাদের মতামত প্রদান করেন। সভায় শিক্ষকরা অভিমত ব্যক্ত করেন যে, মূলত শিক্ষার্থীদের আর্থিক, শারিরীক ও মানসিক দূর্ভোগ লাঘবের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলেও পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এর চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। এসময় সকলের মতামতের উপর ভিত্তিতে গুচ্ছতে না গিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

আরো পড়ুন:  ইবিতে মুজিববর্ষ বই মেলা ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল

গুচ্ছতে না যাওয়ার পিছনে যে করণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো-

. গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদেরকে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। কেননা একজন শিক্ষার্থীকে তার পছন্দমত বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে অবিভাবকসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে।

২. অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ চলমান গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভীষণভাবে অর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হয়েছে। তাদের এক বিশ্বদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে প্রথম ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় কোন টাকা ফেরত দেয়নি।

আরো পড়ুন:  বন্যার্তদের ত্রাণ দিলো সিকৃবি ছাত্রলীগ

. গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা একটি মারাত্মক সমস্যা বলে ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হয়ছে। কারণ সাত থেকে আটবার ভর্তির মেধাক্রম প্রকাশ করেও বিশ্বদ্যিালয়সমূহ ভর্তির কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভর্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখানে একটি ইউনিট গুচ্ছ পদ্ধতির বাইরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে যা সামগ্রিক ভর্তি প্রক্রিয়ার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

শিক্ষকরা বলেন, সভায় সর্বোসম্মতিক্রমে উপরিউক্ত কারণসমূহ বিবেচনা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট অনুযায়ী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাহলে শিক্ষকগণ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কাজে অংশ গ্রহণ করবেন না মর্মে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আরো পড়ুন:  বেরোবিতে নীলদলের সভাপতি নিতাই, সম্পাদক আজিম

শিক্ষকরা আরও বলেন, আমরা মনে করি যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন অক্ষুন্ন রেখে স্ট্যাটিউট অনুসারে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করলে শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকগণের আর্থিক সাশ্রয় এবং কষ্ট লাঘব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ও সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles