28.3 C
Bangladesh
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

ইউসিএর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকাটা নামটি কুবি নয়, দাবি উপাচার্যের

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ইউসিএর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকাটা নামটি কুবি নয়, দাবি উপাচার্যের

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি ফর দি ক্রিয়েটিভ আর্টসের (ইউসিএ) নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় বলে দাবি করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন। তিনি বলেন, তালিকায় কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি নামে যে দুটি নাম এসেছে, তার কোনোটিই আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানানের সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানানের মিল নেই। এ বিষয়ে কারও দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। আর ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কোথাও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নেই। এটা বিভ্রন্তিকর।’ 

এবিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই এ বিষয়ে প্রতিবাদ দেব। ইতোমধ্যে আমি ইউসিএ এর ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’

জানা যায়, সম্প্রতি টুএ নিউজ ও একাত্তর টিভি নামের দুটি গণমাধ্যম ‘সনদ জালিয়াতির’ অভিযোগে বাংলাদেশের ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় কে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি ফর দি ক্রিয়েটিভ আর্টস কালো তালিকাভুক্ত করেছে এমন সংবাদ প্রচার করেন। এরমধ্যে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি নামক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ নামের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। কারণ বাংলাদেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানানের সাথে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের বানানে রয়েছে গরমিল।

আরো পড়ুন:  কুবির শেখ হাসিনা হলের প্রথম প্রভোস্ট সাহেদুর রহমান

এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইট ঘুরেও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এনিয়ে সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এদিকে কালো তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ নয় বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভ্রান্তিকর তথ্যের ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি ফর দি ক্রিয়েটিভ আর্টস এর উপাচার্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন।

 চিঠিতে উপাচার্য বলেছেন, ইউসিএ বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বলে প্রচার করেছে দেশীয় কয়েকটি গণমাধ্যম। তালিকায় উল্লেখিত রাজধানীর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নামের উচ্চারণের মিল রয়েছে। তবে ওই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে না। যেহেতু তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের উচ্চারণ একই, তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে অনুরোধ করছি। তবে যদি বিষয়টি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণসহকারে বিষয়টি জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।

আরো পড়ুন:  মাইক্রোসফটে নিয়োগ পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজীব 

 খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি ফর দি ক্রিয়েটিভ আর্টস বাংলাদেশের দ্যা রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা, দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা, অতীশ দীপঙ্কর সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি নামের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো তালিকা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ জালিয়াতি করে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন। এনিয়ে এসএ এক্সপ্রেস নামের একটি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সংস্থার বরাত দিয়ে দেশী-বিদেশী কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।

সংস্থাটির দাবি অনুযায়ী ওই গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ‘Cumilla University’ লেখা হয়েছে। বস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইংরেজি বানান ‘Comilla University’। এছাড়া ইউসিএ এর ওয়েবসাইটে গিয়েও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:  কুবি বিএনসিসির উদ্যােগে বন্যার্তদের সহায়তা প্রদান

 এদিকে ঐ তালিকার দুই নম্বরে ‘দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’ (The University of Comillah) নামের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখানো হয়েছে। যদিও এ নামেও বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

তবে The University of Comilla নামে ইউজিসির কালো তালিকাভুক্ত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান একসময় ঢাকার উত্তরায় দেখানো হলেও সম্প্রতি ওই ঠিকানায় গিয়ে ইউজিসি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পায়নি বলে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরেই ইউজিসির কালো তালিকাভূক্ত। 

এসব বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’ নামের একটি নামসর্বস্ব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে বারবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। অবিলম্বে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কুবি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। 

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles