29 C
Bangladesh
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

সবুজের মায়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

মতামত ও ফিচারসবুজের মায়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

 

৭৫ একরের ক্যাম্পাসে ঢুকলেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাহারি গাছপালা যে কারো নজর কাড়তে সক্ষম। ফুলগাছ, ফলগাছ, ঔষধিগাছ, কাঠগাছসহ সব ধরনের গাছের একটি বৃক্ষ জাদুঘরে পরিণত হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ একরের ক্যাম্পাস।
ক্যাম্পাসের ভিতরে খেলার মাঠের পাশে, মসজিদের সামনে, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, লাইব্রেরির সামনে, একাডেমিক ভবনগুলোর সামনে অথবা প্রশাসনিক ভবনসহ যে কোনো জায়গায় দাঁড়ানো হোক না কেন মুহূর্তেই সেখানে একটা নির্মল অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে যেন।
চারটি একাডেমিক ভবনের সামনে পুরোটা জুড়ে নানা রকম বৃক্ষের সমারোহ। চড়ুই, ঘুঘুসহ নাম না জানা অসংখ্য পাখি খেয়ালি ওড়াউড়ি করে এপাশ থেকে ওপাশ। রংপুর শহরের যে কোনো স্থানের চাইতে ক্যাম্পাসের এই দৃশ্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
শতাধিক প্রজাতির ৩৩ হাজার গাছ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শতাধিক প্রজাতির প্রায় ৩৩ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে পরিচিত গাছের ফাঁকে ফাঁকে পরিচয় মিলবে বিভিন্ন অপরিচিত গাছের। কোনোটা পরিণত, আবার কোনোটা চারা অবস্থা থেকে মাত্রই ছোটো ডাল মেলে বেড়ে উঠছে। শরীর ভরতি সবুজ-কোমল-কচি পাতা।
৩৩ হাজার বৃক্ষে যার হাতের ছোঁয়া লেগে আছে তিনি হলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। গাছ লাগানোর কাজে বিভিন্নভাবে তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করেন। খুব শীঘ্রই, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে বৃক্ষ জাদুঘর। বিদেশি পর্যটকরা যদি বাংলাদেশের সবগুলো বৃক্ষকে দেখতে চাই তাহলে সে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য হবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
সবুজ শ্যামল আর পাখির কিসির মিসির শব্দ, প্রাণ জুড়ানো দক্ষিণা বাতাস, স্নিগ্ধ হাওয়া আর প্রকৃতির কোমল মায়ার চাদরে জড়িয়ে আছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles