29 C
Bangladesh
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

তড়িঘড়ি করেই মেরামত করছে হিমেলের মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পোড়ানো সেই ট্রাকগুলো 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়তড়িঘড়ি করেই মেরামত করছে হিমেলের মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পোড়ানো সেই ট্রাকগুলো 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানকাজে যুক্ত মালবাহী ট্রাকের চাপায় হিমেলের মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পুড়িয়ে দেওয়া সেই ট্রাকগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আজ সকাল ১১ টার দিকে সব ট্রাক হবিবুর মাঠের মাঝখানে আনা হয়। দীর্ঘ ১৪ দিন পর পরিবেশ শান্ত হওয়ায়  কর্তৃপক্ষ যেনো জোরদার করেই মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছে।

Rajshahi University Student Himel Accident Photos

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মানকাজে যুক্ত ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান হিমেলের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। ইতিমধ্যে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু এখনো মামলার আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া, বুধবারের মধ্যে হিমেলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

Rajshahi University Student Himel Accident Photos

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক শিক্ষার্থী রিমেলের চিকিৎসার সকল খরচও প্রশাসন বহন করছে।

আরো পড়ুন:  বহিষ্কারের পর এবার গ্রেফতার শিক্ষিকাকে লাঞ্ছনাকারী সেই আশিক 

২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিহত শিক্ষার্থীর হিমেলের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আপাতত ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হয়েছে হিমেলের পরিবারকে। তবে এফসির সঙ্গে বৈঠক করে এই ক্ষতিপূরণের বাড়ানো সম্ভব হলে সেটি বাড়ানো হবে। হিমেলের মায়ের সব ধরনের আর্থিক দায়িত্ব নিয়েছে  বিশ্ববিদ্যালয়।’

১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনের রাস্তায় ট্রাকচাপায় মাহমুদ হাসান হিমেল নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। হিমেল রাবির গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বগুড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এদিকে হিমেলের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা উপাচার্য ও প্রক্টরের সাড়া না পেলে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ৬টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর উপাচার্য ভবনে হামলার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে গিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুরও চালানো হয়। পরে রাত ২টার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়ার ব্যাপারে উপচার্যের আশ্বাসের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়। এরপর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।

আরো পড়ুন:  নামাজে ডাকাডাকির জের ধরে সংঘর্ষে আহত রাবি শিক্ষার্থী

নিহত হিমেলের বন্ধু কনিক ও স্মৃতি জানিয়েছিলেন, ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা হিমেলের মরদেহ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। তবুও রাবি কর্তৃপক্ষ মরদেহ সরাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এটি দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। প্রক্টর লিয়াকত আলীকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

মঙ্গলবার রাতে ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের প্রত্যাহারের দাবি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার মধ্যরাতে সেই দাবি মেনে নিয়ে তাকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে আনা হবে বীমার আওতায়, বিনিময়ে কি সুবিধা পাবে? 

রাবির জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ পান্ডে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের পদত্যাগ ছিল, উপাচার্য তা মেনে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাকে প্রত্যাহার করে গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আসাবুল হক-কে প্রক্টর করা হয়েছে।

অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে ট্রাকচালক গ্রেপ্তার, লাইটের ব্যবস্থা, রাস্তার উন্নয়ন, বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ, নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ- এগুলোও উপাচার্য মেনে নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন, এটা নিয়ে আজ আবার বসে সিদ্ধান্ত হবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন বিজ্ঞান ভবনকে ‘মাহমুদ হাবিব হিমেল একাডেমিক ভবন’ নামকরণ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এই ক্যাম্পাস/এএবি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles