নবীনবরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রেমী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি’ আজ (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কলা অনুষদের হল রুমে সংগঠনটির উদ্যোগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ আয়োজন করা হয়।কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এফ এম আবদুল মঈন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং সহকারী অধ্যাপক ফাহাদ জিয়া। পরামর্শক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এস এম সাদেক। এছাড়াও উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড.মোহা.হাবিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সহযোগী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ সৌরভ উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক অর্নব বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ গবেষণা কি এবং গবেষণার বিভিন্ন দিক ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য ড.এ এফ এম আবদুল মঈন শিক্ষার্থীদের গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি উপাচার্য হয়েও এত ব্যস্ত থাকার পরও এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি।তিনি আরো বলেন,গবেষণা করা ব্যতীত কোন প্রতিষ্ঠানকে লিডিং পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।আর গবেষণার জন্য আমরা সর্বোচ্চ বাজেট দেওয়ার চেষ্টা করবো।যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা নামক সংস্কৃতির চর্চার প্রসার ঘটে। আর এই সংস্কৃতি অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির মডারেটর সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমরা রিসার্চ সোসাইটি যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ এ কিন্তু আজকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করবো। বাংলাদেশ এমডিজি পূরণ করেছে এবং এসডিজি পূরণ করবো ২০৩০ এ। যদি এসডিজি পূরণ করতে যাই তাহলে গবেষণা ছাড়া এসব লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো না। আমি ও ফাহাদ জিয়া দুজন মডারেটর হিসেবে তোমাদের পাশে আছি।কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
মডারেটর সহকারী অধ্যাপক ফাহাদ জিয়া বলেন,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের মাননীয় উপাচার্য গবেষণার দিকে সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন। আমার কাজ হবে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি উপদেষ্টা মণ্ডলীকে অনুরোধ করবো ছাত্রদের পাশে থেকে কাজ করার জন্য। এবং ছাত্রদের বলবো করোনাতে যে কাজ গুলো স্থগিত হয়েছে তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের এ কাজে আরো গতিশীলভাবে কাজ করতে হবে। কারন অনেক সংগঠন তৈরি হয় কিন্তু কিছুদিন পর আর গতি থাকে না। সবাইকে শুভ কামনা।কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটি’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংঘটনটি দাঁড় করানো হচ্ছে আপনাদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন ও ভিশন এবং এ সংগঠনের মিশন ভিশনের মধ্যে কেনো পার্থক্য নেই। আপনি যখন নিজের সত্তাকে উপলব্ধি করতে পারবেন তখন আপনি পরিপূর্ণ হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্তা হলো গবেষণা। কলেজগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য হলো কলেজে গবেষণা হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয়। আপনারা যদি গবেষণার ভিতর দিয়ে নিজের ছাত্রত্বকে চালিয়ে নিতে পারেন তবে আপনারা সফল হবেন।