29 C
Bangladesh
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও শিক্ষা জীবন

বিশেষ দিন ও বাংলাদেশবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও শিক্ষা জীবন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের বাইগার নদী তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। আজ সেই দিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। এদিন যেনো এক নতুন বাংলাদেশের আভাস নিয়ে এসেছিলো। এ দিনটি যেনো বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নতুন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয় ১৭ মার্চ রাত ৮ টায়। তিনি শেখ বংশের গোড়াপত্তনকারী শেখ বোরহানউদ্দিনের বংশধর। তার বাবা শেখ লুৎফুর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার বা হিসাব সংরক্ষণকারী ছিলেন এবং তার মা সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোনের নাম ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী এবং তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। 

আরো পড়ুন:  ১৮ মে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এন্ট্রাপ্রেণর ফেস্টিভ্যাল ২০২০

শেখ মুজিবুর রহমান নামটি রাখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নানা শেখ আবদুল মজিদ। বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলায় ডাকনাম ছিলো ”খোকা”। ১৯২৭ সালে যখন তার সাত বছর তখন বঙ্গবন্ধু পড়াশোনা শুরু করেন গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯২৯ সাল, যখন ৯ বছর তখন তিনি তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন গোপালগঞ্জ পাবলিক বিদ্যালয়ে। বঙ্গবন্ধুর বাবার বদলির কারনে তিনি সেই বিদ্যালয় থেকে মাদারীপুর ইসলামিয়া বিদ্যালয়ে ভর্তি হোন চতুর্থ শ্রেণীতে ১৯৩১ সালে। সেখানে পড়াশোনা করেন ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত। সেই বছরই বঙ্গবন্ধু বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হোন এবং তার হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৩৬ সালে তার চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়ে এবং অস্ত্রোপচার করাতে হয়।

আরো পড়ুন:  নবজাতক শিশুদের মৃত্যু হ্রাসে পরিকল্পনা

তিনি ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চার বছর বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেননি। তিনি ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সুস্থ হবার পর গোপালগঞ্জে মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ সময়ে ব্রিটিশবিরােধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী এবং বহু বছর জেল খাটা কাজী আবদুল হামিদ (হামিদ মাস্টার) নামীয় জনৈক ব্যক্তি তার গৃহশিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীকালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে আই.এ. এবং ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালীন তিনি বেকার হোস্টেলের ২৪ নং কক্ষে থাকতেন। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার সম্মানার্থে ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষকে একত্র করে “বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ” তৈরি করে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে ফেব্রুয়ারি কক্ষটির সম্মুখে তার আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়।

আরো পড়ুন:  পবিপ্রবি'তে বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন 

ভারত বিভাজনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে ভর্তি হন। তবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে বহিষ্কার করে। পরবর্তীকালে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles